নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা। দেশের এক মাত্র রিক্সা বিহীন
শহর, হ্রদ পরিবেষ্টিত পর্যটন শহর এলাকা। এ জেলায় চাকমা, মারমা,
তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, চাক্, পাংখোয়া, লুসাই,
সুজেসাওতাল, রাখাইন সর্বোপরি বাঙ্গালীসহ ১৪টি জনগোষ্ঠি বসবাস করে।
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য অঞ্চলকে নিয়ে
পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা সৃষ্টির পূর্বের নাম ছিল কার্পাস মহল। পার্বত্য
চট্টগ্রাম জেলা থেকে১৯৮১ সালে বান্দরবান এবং ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি পৃথক
জেলা সৃষ্টি করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার মূল অংশ রাঙ্গামাটি পার্বত্য
জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
দর্শনীয় স্থানঃ- কাপ্তাই হ্রদঃ কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই হ্রদ। নৌ-ভ্রমণের জন্য রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও পর্যটন ঘাটে ভাড়ায় স্পীড বোট ও নৌযান পাওয়া যায়। ঘন্টা প্রতি অথবা সারাদিনের জন্য ভাড়া করা যাবে।
- ঝুলন্ত সেতুঃ রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি ‘পর্যটন কমপ্লেক্সে’ যাওয়া যায়।পর্যটন মোটেলের পাশেই ঝুলন্ত সেতু অবস্থিত।
- রাজা জং বসাক খানের দীঘি ও মসজিদ
- ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়িঃ
অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়িযোগে কে.কে.রায় সড়ক হয়ে হ্রদের এই পাশে যেতে হবে। অতঃপর নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যাবে। কাপ্তাই হ্রদের মাধ্যমে নৌপথেও এ স্থানে আসা যায়। - বৌদ্ধ প্যাগোডা
- রাজবন বিহারঃ টিটিসি রোড দিয়ে কিংবা রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম এর পাশের রাস্তা দিয়ে অটোরিক্মা কিংবা প্রাইভেট গাড়ি কিংবা অন্য কোন মটরযানে রাজবন বিহারে যাওয়া যায়। নৌপথে বিভিন্ন বোটযোগেও এখানে যাওয়া যায়।
- শুভলং ঝর্ণাঃ শুভলং, বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়।
- টুক টুক ইকো ভিলেজঃ জেলা সদরের বালুখালী ইউনিয়নের কিল্ল্যামুড়া এলাকায় অবস্থিত। শহরের রিজার্ভ বাজারের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রয়েছে নিজস্ব বোটের ব্যবস্থা। জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা।
- প্যাদা টিং টংঃ কাপ্তাই লেকে বোটে করে যেতে হবে।
- স্বর্গছেড়াঃ কাপ্তাই লেকে বোটে করে যাওয়া যায়।
- উপজাতীয় জাদুঘরঃ রাঙামাটি সদরে অবস্থিত জাদুঘরটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
- বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলঃ রাঙ্গামাটি ও নানিয়ারচর হতে লঞ্চযোগে সরাসরি যাতায়াত করা যায়। নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে এই সমাধিস্থল অবস্থিত। সময় লাগবে ১/২ ঘন্টা।